অ্যাশেজে জায়গা হারাতে পারেন ওয়ার্নার, পরিবর্তে হ্যান্ডসকম্ব,নাকি থাকছে নতুন চমক?
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা ইতিমধ্যে অর্জন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ইন্দোরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্টে ভারতকে নয় উইকেটে হারিয়ে তারা যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। তবে ভারতে নাটকীয় টেস্ট সফরের মধ্যে অজিদের প্রথম একাদশ তৈরি নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে।
৭ জুন থেকে ওভালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত বা শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। প্রসঙ্গত, পরের সপ্তাহে এজবাস্টনে অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে নামবে অজিরা।
ইংল্যান্ডের ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের কারণে অস্ট্রেলিয়া প্রায় নিশ্চিত ভাবেই ইংল্যান্ড সফরে তিন পেসার নিয়েই খেলতে নামবে। নাথান লিয়ন একমাত্র স্পিনার হিসেবে থাকবেন। জশ হ্যাজেলউড অ্যাকিলিসের চোটে ভুগছেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পারিবারিক কারণে ভারতের বিপক্ষে শেষ দু’টি টেস্ট খেলতে পারেননি। তবে দুই সিমারকে যদি পাওয়া যায়, তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য তারা দলে থাকবেন।
টড মার্ফি একজন রিজার্ভ স্পিনার হিসেবে অ্যাশেজ দলে যোগ দিতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ান স্পিন-কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরি বিশ্বাস করেন, মার্ফি সব কন্ডিশনে উইকেট নিতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: আমেদাবাদে ২টি পিচ তৈরি রাখছে BCCI? ছবি ভাইরাল হতেই উত্তেজনা চরমে
সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেওছেন, ‘আমি মনে করি, এখানেই ও আত্মবিশ্বাসী যে, ও সাইড স্পিন বোলিং করতে পারে, ও নাথানের মতো ওভারস্পিন বোলিং করতেও পারে। প্রয়োজন বুঝে ও বল করে থাকে। আমি মনে করি, ও বিশ্বের সমস্ত ধরনের পিচেই ভালো বল করতে পারে।’
তবে ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ঝুলছে। অভিজ্ঞ ওপেনার দিল্লিতে কনুইয়ের ফ্র্যাকচারের কারণে ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় এবং চতুর্থ টেস্ট মিস করেছেন। তবে টেস্টে তাঁর ফর্ম নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়ে গিয়েছে।
৩৬ বছরের তারকা তাঁর শেষ ১৫টি টেস্টে মাত্র এক বারই পঞ্চাশ পার করেছেন। তাও আবার তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে তাঁর ডাবল সেঞ্চুরিটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত ছিল বলে অনেকে ধারণা করলেও, আসলে সে রকমটা ঘটেনি। বরং তিনি বারবার হতাশ করে চলেছেন। ওয়ার্নারের শেষ ১৩ টেস্টে ২৬.০৪। তাঁর নামে কোনও সেঞ্চুরি নেই।
আরও পড়ুন: স্ট্রাইক রেট নিয়ে বেশিই বাড়াবাড়ি হয়- LSG অধিনায়কের মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু
২০১৯ সালে অ্যাশেজ সফরের সময়ে ওয়ার্নারকে বারবার বিপাকে ফেলেছিলেন স্টুয়ার্ড ব্রড। ১০ ইনিংসের মধ্য ওয়ার্নারকে তিনি সাত বার আউট করেছিলেন। আর পাঁচটি টেস্টে ওয়ার্নারের গড় ছিল ৯.৫০। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কোচ ড্যারেন লেম্যান পরামর্শ দিয়েছেন যে, ওয়ার্নার ইংল্যান্ডে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে সাফল্য পেতে পারেন।
প্রাক্তন টেস্ট ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট শেফিল্ড শিল্ডে ভালো পারফম্যান্স করেছেন। তিনি বর্তমানে ৬৩.৪৬ গড়ে ৮২৫ রান করেছেন। এবং ব্যানক্রফ্টই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান স্কোরার। যার মধ্যে ন’টি ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। তবে তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত হবে কিনা, সেই আলোচনায় দ্বিধাবিভক্তঅজি সমর্থকেরা।
ম্যাথু রেনশও অন্য একজন প্রতিযোগী, কিন্তু কুইন্সল্যান্ডার সম্প্রতি খারাপ পারফরম্যান্স করার কারণে ভারত সফর থেকে বাদ পড়েন। ওয়ার্নারের অনুপস্থিতিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির সময়ে ওপেন করেন ট্রেভিস হেড। দিল্লি এবং ইন্দোরে উভয়ই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর করেছিলেন তিনি। তবে তাঁকে ওপেনার হিসেবে দীর্ঘমেয়াদের জন্য বিবেচনা করা হয় না। হেড মিডল অর্ডারেই ফিরে আসবেন। সম্ভবত আমেদাবাদে পিটার হ্যান্ডসকম্ব ওপেন করতে পারেন।
হ্যান্ডসকম্ব গত মাসে টেস্ট দলে ফিরে এসেছেন। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ব্যাটারদের একজন তিনি। তবে তাঁকে অ্যাশেজে একাদশে নাও দেখা যেতে পারে। ৩১ বছরের তারকার সামনে আমেদাবাদে একটি বড় সুযোগ রয়েছে জাতীয় নির্বাচকদের বোঝানোর জন্য যে, তিনি টেস্ট দলে জায়গা ধরে রাখার যোগ্য।
For all the latest Sports News Click Here