অশ্বিনকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের পরিকল্পনা দেখে বিস্মিত শাস্ত্রী, জনসন, আগরকররা
শুভব্রত মুখার্জি: ইন্দোর টেস্টে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে ভারতের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিত শর্মারা। জবাবে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ভারতের থেকে ৮৮ রানে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৩ রানে অলআউট হয়েছে তাঁরা। ফলে ইন্দোর টেস্ট জিততে অজিদের দরকার মাত্র ৭৬ রান। হাতে রয়েছে গোটা তিন দিন। ফলে অতিমানবীয় কিছু না ঘটলে এই টেস্ট যে রোহিত শর্মারা হারতে চলেছে তা বলাই যায়। আর এমন আবহে দাঁড়িয়েই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। দ্বিতীয় দিনে অজিদের প্রথম ইনিংসের খেলা চলাকালীন অশ্বিনকে বেশ দেরি করেই আক্রমণে আনেন রোহিত। যা দেখে রীতিমতো বিস্মিত রবি শাস্ত্রী, মিচেল জনসন, অজিত আগরকররা!
দ্বিতীয় দিন সকালে ৫৫ মিনিট খেলা হয়ে যায়। ১৫ ওভার বোলিং করা হয়ে যায়। তারপরেই অশ্বিনকে আক্রমণে আনেন ভারত অধিনায়ক। যা দেখে বিস্মিত ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন তারকারা। এদিন সকালে মহম্মদ সিরাজ এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন রোহিত। এরপর বল দেন অক্ষর প্যাটেলকে। তারপরে আক্রমণে আনেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। এতেই বেজায় বিস্মিত শাস্ত্রীরা!
আগরকর ধারাভাষ্য দিতে দিতেই জানান, ‘আমি মনে করি আজ ভারতের পরিকল্পনা একেবারে নিখুঁত। প্রথম ঘণ্টায় অশ্বিনকে দিয়ে বল করানোই হল না? ও তো আমাদের দলের প্রেমিয়ার বোলার। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬ ওভার বল করেছে ও। আমি জানি অক্ষর খেলছে। ও একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবেই খেলছে। তবে এই অবস্থাতেও অশ্বিনকে দিয়ে বল করানো উচিত ছিল। ভীষণরকম বিস্ময়কর।’
আগরকরের সঙ্গে সহমত পোষণ করে মিচেল জনসন জানান, ‘ডান হাতি ব্যাটারদের ক্ষেত্রে যেটা ও (অশ্বিন) রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করে তা ব্যাটারকে চিন্তায় ফেলতে পারে। একটা বল স্পিন করতে পারে আবার নাও পারে। আমরা স্মিথকে এই সিরিজে এর আগেও আউট হতে দেখেছি। বল ওর ব্যাটের কোণা ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।’
আগরকর তখন পাল্টা বলেন, ‘এখন তো দেখে মনে হচ্ছে পিচ থেকে আগের মতো সাহায্যও পাওয়া যাবে না। তা সত্ত্বেও অবশ্য এখনও পিচে অনেক কিছু আছে।’ রবি শাস্ত্রী যোগ করেন ‘ও (অশ্বিন) তো সকাল থেকে ওয়ার্ম আপ করছে। তাও ওকে বল দেওয়া হল না!’ এদিন পিটার হ্যান্ডসকম্ব, অ্যালেক্স ক্যারি এবং নাথান লিয়নকে প্যাভিলিয়নে ফেরান অশ্বিন।
For all the latest Sports News Click Here