অল্পের জন্য রান আউট মিস, কপাল জোরে ০ করার লজ্জার হাত থেকে বাঁচলেন পন্ত- ভিডিয়ো
বৃহস্পতিবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পন্ত শূন্য রানেই আউট হয়ে যেতেন। কিন্তু কপাল জোরে বেঁচে যান। যদি এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া প্রোটিয়া ক্রিকেটার ট্রিস্টান স্টাবস যদি সরাসরি বলটি উইকেটে আঘাত করতেন, তবে শূন্যতেই সাজঘরে ফিরতে হত পন্তকে।
এটি ১৪তম ওভারে ঘটেছিল। এই ওভারের প্রথম বলেই আইয়ার এটিকে শর্ট মিড-উইকেটের দিকে মারেন। আর স্টাইক নেওয়ার জন্য পন্ত তাড়াহুড়ো করে সিঙ্গেল নিতে দৌড়তে শুরু করেন। বেশি দূর বলটি যায়নি বলে, উল্টোদিকে বোলার কাগিসো রাবাডা বলটি কুড়িয়ে রানআউট করার জন্য যাচ্ছিলেন, তখন ভারত অধিনায়কের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে তাঁর। আসলে শ্রেয়শ ক্রিজ না ছাড়ায় পন্ত উল্টোদিকে ব্যাক করছিলেন। ধাক্কা লেগে তিনি কিছুটা দূরে ছিটকে গি এ দিকে ফিল্ডার স্টাবস বলটি কুড়িয়ে রানআউট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি উইকেট ভাঙতে পারেননি। উইকেটে লাগলে সেটা নিশ্চিত রানআউট ছিল।
আরও পড়ুন: ‘রোহিত-রাহুলকে সরিয়ে আমাকে খেলানোর কথা বলতে পারি না’, বাস্তবটা জানেন ইশান
বল স্টাম্পের উপর দিয়ে যখন বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন ক্রিজে ফিরে আসেন পন্ত। রাবাডার সঙ্গে আকস্মিক ধাক্কায় চোট লাগে পন্তের। তিনি ক্রিজে ফিরে আসার পর বসে পড়েন। বোঝাই যাচ্ছিল, অস্বস্তি হচ্ছে। রাবাডা এগিয়ে গিয়ে সৌজন্য দেখান। পরে পন্ত ১৬ বলে ২৯ করে সাজঘরে ফেরেন।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান করেছিল ভারত। ইশান কিষাণ ৪৮ বলে ৭৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া পন্তের ২৯, শ্রেয়সের ৩৬ এবং হার্দিকের অপরাজিত ৩১ রান রয়েছে। সকলে মিলেই ভারতকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করান। তবে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে ইশানের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে ২১২ করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ৭ উইকেটে ম্যাচটি জিতে যায়। ৩১ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। ৪৬ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। রান তাড়া করতে গিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১৩১ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে মিলার-ডুসেন জুটি। ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিপক্ষের সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপের নজির এটাই।
For all the latest Sports News Click Here