অরিজিৎ কনসার্ট: ‘গেরুয়া বিতর্ক’-এর আগুনে ঘি ঢাললেন শুভেন্দু, কী বলছেন কুণাল ঘোষ?

ফেব্রুয়ারির নির্দিষ্ট দিনে ইকো পার্কে অরিজিৎ সিং-এর কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল। কলকাতায় অরিজিৎ-এর কনসার্ট নিয়ে চরম উৎসাহ শ্রোতাদের মধ্যে। শো-এর অধিকাংশ টিকিটও বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ইকো পার্কে শো হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত দিনেই অরিজিৎ সিংয়ের কলকাতার অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই কনসার্ট হলেও তা ইকো পার্কে নয়, অন্য কোথাও। নতুন জায়াগায় অনুষ্ঠান হবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। এমনটাই জানিয়েছে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্থা।

এ দিকে ইকো পার্কের পরিবর্তে অ্যাকোয়াটিকা বা নিক্কো পার্কে অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তবে দর্শক ধরবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় আয়োজক সংস্থা। ‘পেটিএম ইনসাইডার’-এর তরফে নতুন এক বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, কনসার্টের স্থান চূড়ান্ত হয়নি। 

প্রসঙ্গত, ১৫ ডিসেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ২৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অরিজিৎ। সেই অনুষ্ঠানে সব তারকাদের থেকে কিছুটা নিজেকে লুকিয়েই রেখেছিলেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখ এড়াতে পারেননি। অরিজিতকে অনুরোধ করা হয় কিছু বলার জন্য তখন রীতিমত হইচই পড়ে যায়।

আরও পড়ুন: পরিবারের সঙ্গে জন্মদিন কাটানো, টুইঙ্কলের পাগলামির নাচের ভিডিয়ো শেয়ার করলেন অক্ষয়

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিতের কাছে গান শোনানোর আবদার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবি থেকেই টাইটেল ট্র্যাক গানের দুই কলি গেয়ে শোনান অরিজিৎ। তারপর মঞ্চে থাকা শাহরুখের জন্য ধরেন ‘দিলওয়ালে’ ছবি থেকে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গানটি। আর এই ‘গেরুয়া’ শব্দ থেকেই শুরু যবতীয় বিতর্ক। কেউ কেউ এর সঙ্গে রাজনীতির রং জুড়েছেন। 

এদিকে, ১৮ ফেব্রুয়ারি অরিজিতের কনসার্ট ইকো পার্কে। রাজ্য সরকারের অনুমতি মেলেনি সেখানে অনুষ্ঠান করার। আর তাতেই বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করে যে, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া…’ গাওয়ার জন্য শো-এর অনুমতি বাতিল হয়েছে ইকো পার্কের।

সেই প্রসঙ্গ টেনে বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘হিন্দুস্তান-পাকিস্তান’ বিতর্ক তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটি পুরনো টুইট শেয়ার করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর কলকাতায় কনসার্ট করতে এসেছিলেন শিল্পী গুলাম আলি। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পুরনো টুইটের স্ক্রিনশট দিয়ে বৃহস্পতিবার টুইটারে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের গুলাম আনি এলে সঙ্গীতের কোনও সীমানা থাকে না কিন্তু হিন্দুস্তানি অরিজিৎ সিংয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা।’ টুইটের সঙ্গে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ হ্যাশট্যাগও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

এর সঙ্গে আদতে কি কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে? প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নতুন এক টুইটেই তিনি দাবি করেছেন, অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে যা হচ্ছে সবটাই কুৎসা। তিনি লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গেরুয়া’ গাওয়ার জন্য অরিজিতের অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে ইকো পার্কে এমন দাবি পুরো মিথ্যা। অরিজিৎ ‘গেরুয়া’ গেয়েছেন ১৫ ডিসেম্বর। আর তাঁর অনুষ্ঠান বাতিলের পর আগাম জমা পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত গিয়েছে ৮ ডিসেম্বর। গান গাওয়ার সাত দিন আগেই অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম ফেরত দেওয়া হয়ে গেলে গেরুয়া যুক্তি ওঠে কোথা থেকে?’

এদিন হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘অরিজিৎ সিং প্রিয় মানুষ। এর পিছনে রাজনীতি নেই।’ তিনি জানিয়েছেন, ওই সময় জি-২০ সম্মেলন রয়েছে। ইকো পার্কের উলটো দিকে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে সেই সম্মেলন হওয়ার কথা। আবার শীতে ইকো পার্কে এমনিতেই উপচে পড়া ভিড়। এরপর অরিজিতের কনসার্ট হলে আইনশৃঙ্খলা সমস্যা হতে পারে। তবে কনসার্টের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়েছেন ফিরহাদ।

কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত বদল ইকো পার্কের? হিডকোর তরফে বলা হয়েছে বড়মাপের নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের জন্য আগেও ইকোপার্কের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অরিজিত সিং-এর শো-তে এবারেও হবে দারুণ ভিড়। বাড়তি ঝুঁকি সামলাতে হবে প্রশাসন ও ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষকে। তাই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।

এবার প্রশ্ন হল, আদৌ কি অরিজিতের শো দেখতে আসা ভিড়কে ইকোপার্ক ছাড়া শহরের আর কোথাও জায়গা দেওয়া সম্ভব?

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.