অমিতাভের মুখে মনসুর আলি খানের উদাহরণ, তাঁর কোন অজানা লড়াইয়ের কথা বললেন? দেখুন
কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৪ এর সর্বশেষ পর্বে অমিতাভ বচ্চনের মুখে ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মনসুর আলি খানের প্রসংশা শোনা গেল। সোনি টিভির তরফে এই এপিসোডের প্রোমো ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আর এই প্রোমো ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনের স্মৃতিচারণে উঠে আসছে মনসুর আলি খানের কথা। অমিতাভ বলেন, একটি অ্যাকসিডেন্টে মনসুর তাঁর এক চোখের দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু তা সত্বেও মনসুর আলি খান কীভাবে লড়াই করেন এই পরিস্থিতির সঙ্গে এবং মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ভারতের ক্রিকেট দলের সর্বকনিষ্ঠ ক্যাপ্টেন হন সেটা মনে করিয়ে দেন।
এই প্রোমো ভিডিওতে অমিতাভকে বলতে দেখা যায়, ‘ আমি আপনাদের একজন ভারতীয় ক্রিকেটারের কথা বলতে চাই যিনি একটি দুর্ঘটনায় তাঁর একটি চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেন। তাঁর গাড়ি চালাতে অসুবিধা হতো, নিজের জন্য এক গ্লাস জল গড়িয়ে খেতে পারতেন না। এত সমস্যার মধ্যে পড়ে তিনি ভেবেছিলেন তাঁর ক্রিকেটের কেরিয়ার বোধহয় শেষ হয়ে গেল। কিন্তু তিনি পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন, এবং নিজেকে এমনভাবে তৈরি করেন যাতে তিনি আবার ক্রিকেট খেলতে পারেন।’
এরপর বিগ বি আরও জানান, ‘ তাঁর এই চেষ্টার পরিণাম কী হয়েছিল জানেন? সেই দুর্ঘটনার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের সর্বকনিষ্ঠ ক্যাপ্টেন হন। আর তাঁর নেতৃত্বেই আন্তর্জাতিক ময়দানে ভারতীয় দল প্রথম টেস্টে জয়লাভ করে। আর সেই ক্রিকেটার হলেন মনসুর আলি খান পতৌদি। তিনি বিশ্বকে বুঝিয়েছিলেন নিজের লক্ষ্য স্থির হলে পৃথিবীর কিছু তোমাকে সেটা পাওয়ার থেকে আটকাতে পারবে না।’
১৯৬১ সালের জুলাই মাসে হোভে মনসুর আলি খান যখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তখন তাঁর গাড়ি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাঁর ডান চোখ এতে পাকাপাকি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বছরই ডিসেম্বর মাসে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন। সেটাই তাঁর প্রথম টেস্ট ম্যাচ ছিল। মাদ্রাসের তৃতীয় টেস্টে তিনি ১০৩ রান স্কোর করেন। আর তাঁর এই স্কোর ভারতকে জিততে সাহায্য করে। ১৯৬২ সালের মার্চ মাসে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হন। তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক ছিলেন, এবং এখনও আছেন। বিশ্ব ক্রিকেটে তিনি তৃতীয় কনিষ্ঠ অধিনায়ক ছিলেন।
১৯৬৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের তিনটি সন্তান, সইফ আলি খান, সাবা আলি খান এবং সোহা আলি খান। সইফ করিনা কাপুরকে বিয়ে করেন, সোহার সঙ্গে কুণাল খেমুর বিয়ে হয়।
For all the latest entertainment News Click Here