অভিষেক বচ্চনকে হঠিয়ে কেন ‘বান্টি’ সাজতে রাজি হয়েছিলেন সইফ? মুখ খুললেন নবাব
ছবি ঘোষণার দিন থেকেই প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল ‘বান্টি অউর বাবলি ২’ ছবিকে কেন্দ্র করে। কোনও সুপারহিট ছবির সিক্যুয়েল ছবি তৈরি হলে, তা নিয়ে যে বাড়তি উন্মাদনা আর প্রত্যাশা দুটোই থাকে, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তবে ‘বান্টি’-র ভূমিকায় এই ছবিতে অভিষেক বচ্চনের পরিবর্তে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন সইফ আলি খান। ইতিমধ্যেই ছবি সমালোচকরাও হতাশ এই ছবি দেখে। দর্শকের দলও যে বিলকুল খুশি নয় তার হাতেগরম প্রমাণ ঢিমেতালে চলা ছবির বক্স অফিস কালেকশন। অবশ্য যেদিন থেকে ঘোষণা হয়েছিল ‘বান্টি অউর বাবলি’-এ সিক্যুয়েলে অভিষেকের বদলে সইফকে দেখা যাবে সেদিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের হতাশা উগরে দিয়েছিল নেটিজেনরা।
তাহলে এই ছবির জন্য কেন রাজি হলেন সইফের মত পোড় খাওয়া এক অভিজ্ঞ বলি-অভিনেতা? জবাব দিয়েছেন ‘নবাব’ নিজেই, ‘ একদিন ছবির প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার থেকে আমি ফোন পেলাম। ছবির নাম প্রথমে না বলে আমাকে বলা হল যে একটি সুপারহিট ছবির সিক্যুয়েল তাঁরা বানাতে চলেছেন। প্রিক্যুয়েলটির নায়ক-ই এই ছবির জন্য যথাযথ তবু বিভিন্ন কারণে এই প্রজেক্টে তাঁর সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে যদি সেই প্রত্যাব দেওয়া হয় তাহলে কি আমার কোনও আপত্তি থাকবে? জবাবে আদি-কে জানিয়েছিলাম যে ‘হাম তুম’-এর প্রস্তাবও আমার কাছে ঠিক এইভাবেই এসেছিল। তাই যদি কোনও বিতর্ক না থাকে, যদি কারও কোনও মন্দ লাগা লেগে না থাকে এই ছবিকে কেন্দ্র না করে তাহলে এই প্রস্তাবে হ্যাঁ বলতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই! তারপর এই ছবির নাম জেনেছিলাম’।
এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন রানিও। স্পটবয়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘বাবলি’ স্বয়ং বলেছেন, ‘দর্শক এই দুই ছবির তুলনা টানবেন। সেটাই স্বাভাবিক। চাইলেও তা আটকাতে পারব না। তবে শুধু এটুকু বলতে চাইও যে ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বান্টি অউর বাবলি’-টি তুলনায় এই ছবি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তুলনা না টানলেই মনে হয় ভালো হয়’।
For all the latest entertainment News Click Here