অভিযোগ তুলতে ব্রিজভূষণ দিচ্ছেন টাকার টোপ ও মৃত্যুর হুমকি, দাবি কুস্তিগীরদের
শুভব্রত মুখার্জি: রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন ভারতীয় কুস্তিগীরদের একাংশ। দেশের একাধিক মহিলা কুস্তিগীরকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক কার্যত কোন পদক্ষেপ এখনও নেয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এই মুহূর্তে যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সম্প্রতি দিল্লি পুলিশকে এক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সাত মহিলা কুস্তিগীরের ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আনা যৌন হেনস্থার অভিযোগ এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করতে হবে। আর এই নির্দেশ আসার পর থেকেই প্রাণ নাশের হুমকি থেকে টাকার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে তাদের। এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে কুস্তিগীর তরফে।
আরও পড়ুন… এখনও দেখেননি নবজাতক পুত্রের মুখ! সেরা হয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না KKR তারকা বরুণ চক্রবর্তী
ভিনেশ ফোগাট এবং বজরং পুনিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে ডব্লুএফআইয়ের নিষিদ্ধ সেক্রেটারি বিনোদ টোমার এবং তাঁর দুই সহযোগী ব্রিজভূষণের হয়ে তাদেরকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন। চাপের মুখে ফেলে তাদের ঐক্য, তাদের মনোবলকে ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে যাতে করে তারা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। অভিযোগকারীদের মতে পর্দার আড়ালে ব্রিজভূষণ তাঁর নোংরা খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর ব্রিজভূষণের হয়ে প্রকাশ্যে দালালি করছেন হরিয়ানা রেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের রাকেশ সিং এবং দ্রোনাচার্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মহাবীর বিষ্ণোই। এরাই সাতজন অভিযোগ কারীনিকে ভয় দেখাচ্ছেন। প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি টাকার প্রলোভন পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন… IPL 2023: ঝোড়ো ইনিংসের পর জরিমানা, ম্যাচ জিতলেও শাস্তি পেলেন KKR তারকা জেসন রয়
বজরং পুনিয়া জানিয়েছেন এই সমস্ত অভিযোগের সাপেক্ষে তাদের কাছে রয়েছে প্রমাণ। আর এই অভিযোগ নিয়েও যে তারা পুলিশের কাছে যাবেন তা স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে। ভিনেশের তরফে আরও গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য সাতজন অভিযোগ কারীনির নাম নাকি ব্রিজভূষণ জেনে গেছেন। আর তা জানা নাকি সম্ভব হয়েছে দিল্লি পুলিশের কারণে। তাদের তরফেই নাকি এই সাতজনের নাম বলা হয়েছে ব্রিজভূষণকে। ভিনেশের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমরা যখন প্রথম অভিযোগ জানাই দিল্লি পুলিশকে। তখন তারা প্রচন্ড চাপে ছিলেন। রাজনৈতিক চাপ ছিল। টাকার প্রলোভন ছিল। দিল্লি পুলিশ তো প্রথমে এফআইআর করতেই চায়নি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গোপনে দিল্লি পুলিশের তরফে সাতজন অভিযোগ কারীনির নামও ফাঁস করা হয় ব্রিজভূষণের কাছে। এরপরেই নিয়মিতভাবে ব্রিজভূষণের তরফে তিন-চারজন কুস্তিগীরদের নিয়মিত ভয় দেখানো হচ্ছে। বাহুবলী নামে পরিচিত একজনের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে টাকার প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে নিতে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
For all the latest Sports News Click Here