অভাবনীয়! বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৭০ নম্বরে থাকা প্লেয়ারের কাছে হার শীর্ষে থাকা জকোর
বানজা লুকা ওপেন থেকে বিদায় নোভাক জকোভিচের। কোয়ার্টার ফাইনালে জকোভিচ খেলতে নামেন বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে থাকা ডুসান লাজোভিচের বিরুদ্ধে। আর সেই ম্যাচেই বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচকে হারতে হল। যা স্বাভাবিক ভাবেই চমকে দিয়েছে। জকোর এমন পারফরম্য়ান্সে অবাক গোটা বিশ্ব। এই ম্যাচের ফলাফল ৬-৪, ৭-৬ (৮/৬)। সার্বিয়ান এই টেনিস তারকা ডুসানের সঙ্গে এই নিয়ে দুইবার মুখোমুখি হন। সেই দুইবারেই মোট চারটি সেট হারেন তিনি।
এই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন না জকোভিচ। ১৬টি ব্রেক পয়েন্টের মধ্যে মাত্র একটি পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন তিনি। দ্বিতীয় সেটের টাইব্রেকারে তিনটি সেট পয়েন্ট হারান তিনি। এই ম্যাচ হারায় স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ তিনি। তাই ম্যাচ শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি যেমনটা খেলতে চেয়েছিলাম তার থেকেও অনেক নিম্নমানের খেলেছি। এই ভাবে খেললে আমি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জিততে পারব না। আমি সব রকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা কাজে লাগেনি। আমি এর থেকে আর কিবা করতে পারি। এটা খেলা তাই এর থেকে বেশি কিছু করার নেই আমার।’
এখানে না থেমে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই কোর্টে আমি শারীরিকভাবে খুব একটা ভালো অনুভব করিনি। আমার পা খুব ধীরে চলাফেরা করছিল। আমি অনেক বল মিস করেছি। আমি মাঝে মাঝে ভালো খেলেছিলাম। কিন্তু তা অনেক সাধারণ মানের। এখানে খেলতে কিছুটা হলেও সমস্যা হয়েছে।’
জকোভিচের এই স্ট্রেট সেটে পরাজয় আগামী মাসের ক্লে-কোর্ট গ্র্যান্ডস্ল্যাম এবং ফরাসি ওপেনের আগে ফর্ম নিয়ে সংশয় বাড়িয়েছে সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞদের মনে। ২২ বারের গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী তারকা এই সপ্তাহের শুরুর দিকে কনুইয়ের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন। এই ম্যাচে তাঁর যে সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা যায়।
লাজোভিচ ২০১৯ সালে উমাগের মাটিতে অনুষ্ঠিত একটিমাত্র এটিপি শিরোপা জিতেছেন। তিনি শনিবার শেষ চারে মিওমির কেকমানভিচের সঙ্গে লড়াই করবেন। জিরি লেহেকার বিরুদ্ধে ৭-৫, ৬-০ জয়ী হন মিওমি। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে হারানোর পর ৩২ বছর বয়সী লাজোভিচ বলেন, ‘আমি অভিভূত। এটি আমার কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়। জকোভিচকে হারানো খুব কঠিন একটা বিষয়। আমি ভাবিনি যে এটা সম্ভব হবে কোনও দিন। কিন্তু হ্যাঁ, এটা হয়েছে। আমি ওকে হারাতে পেরেছি।’
For all the latest Sports News Click Here