অবস্থার অবনতি, সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত নন, কেমন আছেন আঁখি? জানালেন অভিনেত্রীর স্বামী
অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশি অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পার। জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় অভিনেত্রীর। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও ঝুঁকি রয়েছে শারমিনের। শ্বাসকষ্ট ছাড়াও মাঝেমধ্যে জ্বর আসছে অভিনেত্রীর।
২৮ জানুয়ারি শ্যুটিং সেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন শারমিন আঁখি। ঢাকার মিরপুরে একটি নাটকের সেটে অগ্নিদগ্ধ হন অভিনেত্রী। মেকআপ রুমে শর্ট সার্কিট থেকে ঘটা বিস্ফোরণে অভিনেত্রীর শরীরের হাত-পা সহ শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অভিনেত্রীর শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
আঁখির স্বামী রাহাত কবির বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অবস্থা এখনও ভালো বলা যাবে না। আগের চেয়ে ৫ শতাংশ ভালো বলা যায়। তবে ঝুঁকি এখনও রয়েছে। পরিস্থিতি ভালো না হলে আঁখিকে আরও দু-চার দিন আইসিইউতে থাকতে হবে। কারণ, এই ধরনের আগুনে পোড়া রোগীদের নিয়ে ঝুঁকি সব সময়ই থাকে’। আরও পড়ুন: গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে প্রাক্তন ‘বিগ বস’ জয়ী, একটুর জন্য রক্ষা পান ঊর্বশী
তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন আর অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। পোড়া অংশের ড্রেসিং করা হয়েছে। এখন ওকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাখা হয়েছে। আশা করছি অবস্থার উন্নতি হবে। সবার কাছে প্রার্থনা চাই’।
এর আগে শুক্রবার শারমিন আঁখির শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মিরপুরের একটি নতুন শ্যুটিং সেটে ‘অমীমাংসিত প্রেম’ নাটকের কাজ চলছিল (২৮ জানুয়ারি)। আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় গোটা ইউনিট। হালকা করে কেঁপে ওঠে গোটা শ্যুটিং সেট। এরপর দেখা যায় মেকআপ রুমের দরজা, জানলা ভেঙে গিয়েছে।
পরিচালক আশফাকুল আলম বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। আঁখি পরের দৃশ্যের জন্য একাই মেকআপ রুমে রেডি হচ্ছিল। গিয়ে দেখি তাঁর অবস্থা খারাপ—হাত, পায়ের চামড়া পুড়ে গেছে। তখনই আমরা মিরপুর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করি।’
শারমিন আঁখির স্বামী নাট্য পরিচালক রাহাত কবির ঘটনার সময় শ্যুটিং সেটের নীচে ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘শব্দ শুনে সঙ্গে সঙ্গে ওপরে যাই। গিয়ে দেখি আঁখির হাত, পা, মুখ পুড়ে ঝলসে গিয়েছে।….পরে চিকিৎসকেরা হাতের কনুই পর্যন্ত চামড়া কেটে ফেলেছেন, ঊরুর চামড়াও কাটতে হয়েছে। মুখের কিছু অংশ পুড়েছে।’
For all the latest entertainment News Click Here