অফিসপাড়ার ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনী দিদি নম্বর ১-এ, ‘এটাই বাকি ছিল’ হল জমিয়ে ট্রোল
দিনকয়েক ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি পেয়েছেন নন্দিনী। নামটা শোনা শোনা লাগল বুঝি? ঠিকই ধরেছেন ফেসবুক বা ইউটিউবের ফুট ব্লগে এই ‘স্মার্ট দিদি’-কে আপনি বহুবার দেখেছেন। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত পরিবেশন করছে সে। সেই নন্দিনীর গল্পই এবার শুনতে পারবেন দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে।
ছাপোষা একটা ভাতের হোটেল চালিয়ে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন হয়ে উঠেছেন নন্দিনী। ভালো নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষিতা, আধুনিক তরুণী। জিন্স টপেই দেখা মেলে তাঁর বেশিরভাগ সময়। গলায় একটা ব্লু চুঢ হেডফোন। নন্দিনীর এই চেহারার সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত এখন।
ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। চাকরিও করতেন বেঙ্গালুরুতে। করোনায় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনও রাজ্যের বাইরে মমতা থুরি নন্দিনী। বাবা চক্রধারীবাবু কিছুটা বাধ্য হয়েই অফিস পাড়ায় এক চিলতে দোকান খোলেন। স্বামী-স্ত্রী মিলে সংসার সামলাচ্ছিলেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিনা। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে কাজের জায়গায় দিন পনেরোর ছুটি নিয়ে ফেরেন কলকাতায়। তারপর বাবার ছোট্ট স্বপ্নটা পূরণ করতে ছেড়ে দেন নিশ্চিত মাসমাইনের চাকরি। বাবার হাতে হাত লাগান।
নন্দিনীর বাবা রোজ সকালে উঠে রোজ ছোটেন বেলেঘাটার বাজারে। মা বিনা কাটাকুটি করেন। এরপর মেয়ে হাত লাগান বাবার সঙ্গে রান্নায়। আর তারপর অফিসপাড়ায় এসে সবার পাতে হাসি মুখে তুলে দেন খাবার। ভেজ থালি ২০, দু রকম ভাজা নিলে ৪০, চারা পোনা মাছভাত ৭০, রুই নিলে ৮০, চিকেন নিলে ১০০ আর মটন ২০০। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেকে গিয়েই নন্দিনী ও তাঁর বাবার রান্না চেখে দেখে এসেছেন ডালাহৌসি গিয়ে।
এতদিন নন্দিনীকে সবাই চিনত সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। তবে এবার তিনি আসবেন বাংলার জনপ্রিয় শো দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে। খেলবেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বারবারই বাংলার মহিলাদের লড়ািয়ের গল্প উদ্বুদ্ধ করে দর্শকদের। উৎসাহ দেন রচনা নিজেও। এবার নন্দিনীর পালা গল্প শোনানোর।
তবে জি বাংলার তরফে শেয়ার করা প্রোমো-তে নেট-নাগরিকরা করেছেন কটাক্ষ। একজন লিখেছেন, ‘ব্যস এরপর ঝুরি ঝুরি মিথ্যে কথা বলবে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘এই মেয়েটাকে দেখলেই আজকাল বিরক্ত লাগে। দিদি নম্বর ১-এ আসাটাই বাকি ছিল।’
নন্দিনী জানেন এই হঠাৎ আসা খ্যাতি একদিন আবার হঠাৎই কমে যাবে। বলতে শোনা গিয়েছে, ‘জানি আজকের এই ফেম যেমন এসেছে হঠাৎ, তেমন চলেও যাবে হঠাৎ। থেকে যাবে কেবল রোজের লড়াইটা। আমাদের এই ভাতের হোটেলতা। মাটি কামড়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে।’
For all the latest entertainment News Click Here