অপরাজিতাকে নায়িকা বানিয়েছিলেন,কিন্তু এখন সে পাত্তা দেয় না; বিস্ফোরক অনামিকা সাহা
নয়ের দশকের খলনায়িকা চরিত্রে চেনা মুখ ছিলেন অনামিকা সাহা। জাঁদরেল শাশুড়ি অথবা মায়ের ভূমিকায় অভিনয়ের জেরে আজও তাঁকে মনে রেখেছে দর্শক। শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, ঘাতক এর-মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় মনে রাখার মতো। ‘কলকাতা চলন্তিকা’ ছবিতে দেখা যেতে চলেছে তাঁকে খুব শীঘ্রই। তবে, এসবেরই মাঝে বাংলার আরেক নামজাদা অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর নামে মন্তব্য করে চাঞ্চল্য ছড়ালেন।
অনামিকা সাহা সম্প্রতি দাবি করলেন, অপরাজিতাকে তিনি হাত ধরে অভিনয়ে নিয়ে এলেও, এখন আর তিনি চেনেন না তাঁকে। এমনকী মুখোমুখি হলে কথাও বলেন না! অনামিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘তৃষ্ণা’ ধারবাহিকে অপা (অপরাজিতা আঢ্য) আমার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিল। সেইসময় ও আমাকে মামমাম বলেও ডাকত। আমার মেয়ে তখন পড়াশোনার জন্য বাইরে গিয়েছিল। সেই ফাঁকা জায়গাটাও পূরণ করেছিল অপরাজিতা। আমাকে সবসময় বলত, তুমি এত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করো, আমাকে আলাপ করিয়ে দাও, আমাকেও নিয়ে চলো। সেইমতো স্বপন সাহা, অনুপ সেনগুপ্তর কাছে নিয়েও গিয়েছিলাম। এসব কারণে বুম্বার কাছে আমি বকাও খেয়েছিলাম। তারপর স্বপন সাহা আমার কথা শুনে ওকে ‘সিমুল পারুল’ ছবিতে নায়িকা করলেন। ছবি হিট হয়নি, সিনেমার সাউন্ড রেকর্ডিস্ট কে বিয়ে করে অপাও সবকিছু ছেড়ে দিল। তারপর প্রায় ৩-৪ বছর ওকে আর দেখিনি। হঠাৎ একদিন এক নম্বর স্টুডিওতে দেখলাম ওকে। বেশ মোটা হয়েছে। আমার মেকআপ রুমে দৌড়ে এল এবং বলল, ‘আবার আমি এসে গেছি’। আমি বললাম, ‘কোথায় ছিলেন এতদিন?’ উত্তরে অপা বলেছিল, ‘বিয়ের মজা উপভোগ করছিলাম’।
এরপর থেকেই নাকি হঠাৎ বদলে যান অপরাজিতা। অনামিকার কথায়, ‘বেশ কয়েকবার অনুষ্ঠানেও দেখা হয়েছে অপার সঙ্গে। কথা বলেনি। এমনকী একটা অনুষ্ঠানে ওকে প্রাইজ দেওয়ার জন্যও ডাকা হয়েছিল কিন্তু কোথাও কোনওদিনও আমার নাম করেনি।’ বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মতে, তিনি এমন মোটেও চান না যে অপা শুধু তাঁর প্রশংসা করে বেড়াক। বরং, একবার যদি সে খোঁজ নেয় মামমাম কেমন আছে, তাহলেই তিনি খুশি হবেন। সাথে অভিযোগ করেন, যে বুম্বা (প্রসেনজিৎ)-কে তিনি এত স্নেহ করতেন, সেও এখন আর ফোন করে না, খোঁজ নেয় না।
For all the latest entertainment News Click Here