অনেক জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন, বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে- অজিদের হারিয়েও চিন্তায় রোহিত
হায়দরাবাদে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার ভারত। অ্যারন ফিঞ্চদের ৭ উইকেটে ১৮৭ রানের জবাবে ভারত এক বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ১৮৭ রান করে ফেলে। ভারতের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদব। আর বল হাতে অস্ট্রেলিয়াকে সমস্যায় ফেলেন অক্ষর প্যাটেল।
তবে সিরিজে প্রত্যাবর্তন করে ভারতের এই জয়ের পরেও খুশি নন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি মনে করেন, ভারতীয় দলের অনেক জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। রোহিত বলেন, ‘ব্যাটে, বলে এক এক দিন এক এক জন দারুণ খেলছে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। দলের অধিনায়ক হিসাবে এটা সাজঘরে বসে দেখা খুবই স্বস্তির।’ তবে এরই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি যোগ করেছেন, ‘অনেক জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে। হার্ষাল এবং বুমরাহ অনেক দিন পর মাঠে নেমেছে। অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার খুব শক্তিশালী, ওদের বল করাও খুব কঠিন। যদিও সে দিকে তাকাতে রাজি নই। অনেক দিন পর মাঠে ফিরেছে ওরা, একটু সময় লাগবে। আশা করছি, ওরা ছন্দে ফিরবে।’
আরও পড়ুন: ম্যাচ শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে কেন একাই স্টেডিয়ামে চলে এসেছিলেন? খোলসা করলেন কোহলি
আইপিএলে একটা সময়ে ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলতেন রোহিত। যে কারণে হায়দরাবাদের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ রয়েছে। তিনি বলছিলেন, ‘হায়দরাবাদ আমার কাছে খুব স্পেশাল। ভারতীয় দলের হয়েও এই মাঠে যেমন স্মৃতি রয়েছে, তেমনই রয়েছে ডেকান চার্জার্সের হয়েও। আমরা চেয়েছিলাম দারুণ একটা জয় উপহার দিতে, সেটা পেরেছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভুল করার জায়গা খুব কম থাকে। আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি। সাহসী ক্রিকেট খেলেছি।’
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই ক্যামেরন গ্রিন আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। মাত্র ১৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন গ্রিন। শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৫২ রান করে আউট হন তিনি। এর বাইরে অজিদের প্রথম সারির অন্য কোনও ব্যাটারই হায়দরাবাদের ২২ গজে সফল হলেন না। অন্য ওপেনার তথা অধিনায়ক ফিঞ্চ (৭), স্টিভ স্মিথ (৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬) দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন। পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অজিরা। পরে অস্ট্রেলিয়ার কিছুটা গতি দেওয়ার চেষ্টা করেন জস ইংলিস এবং টিম ডেভিড। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৩১ রান। ২৪ রান করে অক্ষরের বলে আউট হন ইংলিস। রান পেলেন না ম্যাথু ওয়েডও (১)। তাঁকেও ফেরালেন অক্ষর। এর পর স্যামসকে নিয়ে দলের ইনিংস টানলেন ডেভিড। ২৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন ডেভিড। স্যামস অপরাজিত থাকলেন ২০ বলে ২৮ করে। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ১৮৬ রানে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় T20-তে দ্রাবিড়ের বড় রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি, সামনে এখন শুধু সচিন
জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ব্যর্থ হন ভারতের দুই ওপেনারই। প্রথমেই আউট হন সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (১)। অধিনায়ক রোহিত ভাল শুরু করেও ১৪ বলে ১৭ রান করে কামিন্সের বলে সাজঘরে ফেরেন। দলের ইনিংসের হাল ধরলেন প্রাক্তন অধিনায়ক কোহলি। দুবাইয়ের পর তাঁকে আবার চেনা মেজাজে দেখা গেল নিজামের শহরে। ২২ গজে তাঁকে সঙ্গ দিলেন সূর্যকুমার যাদব। কোহলি যথেষ্ট আগ্রাসী আর ইতিবাচক ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করেছিল। কিন্তু সূর্যকে মারতে দেখে নিজেকে একটু গুটিয়ে নিল। এক রান নিয়ে সূর্যকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল। সোজা কথায়, ভারতের তরুণ ব্যাটসম্যানকে খেলাচ্ছিল কোহলি। দু’জনের জুটিতে উঠল ১০৪ রান। কোহলি করল ৪৮ বলে ৬৩। সূর্যকুমারের সংগ্রহ ৩৬ বলে ৬৯। পরে হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৬ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থেকে ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
For all the latest Sports News Click Here