‘অনেকটা দেরি করে ফেলেছে’, ইস্টবেঙ্গলের দল গঠন নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটিকে মোহনবাগান। সেই সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদের জন্য বড় ঘোষণা করেন এটিকে মোহনবাগানের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। মোহনবাগানের নামের আগে এটিকে তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। রবিবার ট্রফি নিয়ে বৃষ্টি ভেজা কলকাতায় পা রাখেন ফুটবলাররা। সারা দিন চলে সেলিব্রেশন। ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেন বাগান কর্তারা। আইএসএল জয়ী মোহনবাগানকে সংবর্ধনা দিতে সোমবার ক্লাব তাঁবুতে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তুললেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের নাম।
মোহনবাগান আইএসএল জয়ী হলেও চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে দাঁড়াতেই পারেনি। ডার্বি সহ একের পর এক ম্যাচ হেরেছে তারা। বিতর্কে জড়িয়েছে ফুটবলার থেকে কোচ সকলে। সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েছেন ক্লাব কর্তারা। মরশুম শুরু হওয়ার পরও স্পনসরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল দলকে। সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে তারা। বাগান তাবুতে দাঁড়িয়ে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল যখন দল গঠন শুরু করে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ওরা দলটাই ভাল করে তৈরি করতে পারেনি। ওদের আর্থিক অসুবিধা ছিল। মোহনবাগানকে সেই সমস্যায় পড়তে হয়নি। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার অনেক টাকা রয়েছে। বিভিন্নভাবে দলকে সাহায্য করেছে।’
মুখ্যমন্ত্রী যে মোহনবাগান শিবিরে যাবেন তা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন ক্লাবের সহ সভাপতি কুনাল ঘোষ। আগেভাগেই সব প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়। সেইখানে উপস্থিত ছিলেন জয়ী দলের সকল ফুটবলার এবং কোচ। ছিলেন ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত এবং সভাপতি টুটু বসু। প্রচুর দর্শক ভিড় জমিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
ক্লাবে গিয়ে মমতা সবার প্রথমে বাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল ও কোচ জুয়ান ফেরান্দোর হাতে মিষ্টি তুলে দেন। এর পর এক এক করে সব ফুটবলারকে সংবর্ধনা জানান তিনি। হাতে নিয়ে দেখেন গোলরক্ষকের বিশাল কাইথের সোনার গ্লাভস। মোহনবাগানের পক্ষ থেকে আইএসএল ট্রফি তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। ইস্টবেঙ্গলের কর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবকে।
আইএসএল ফাইনাল জেতায় মোহনবাগানের জন্য পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বাংলার তিন প্রধান ক্লাবের উন্নতি করছে আমাদের সরকার। এখানে আমি গত বছর এসেছিলাম। সুন্দর ভাবে তৈরি করে দিয়েছি ক্লাবকে। সমর্থকদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য ও মোহনবাগান ক্লাবের উন্নতির জন্য আরও ৫০ লক্ষ টাকা দিচ্ছি।’
For all the latest Sports News Click Here