অনবদ্য শাকিব, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মান বাঁচাল বাংলাদেশ

ব্যাটে এবং বলে দুরন্ত ফর্মে শাকিব আল হাসান। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্সে ভর করে জয় পেল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে অবশেষে জয় পেল তারা। পরপর দুই ম্য়াচ জিতে আগেই ওডিআই সিরিজ পকেটে তুলে ফেলে ইংল্যান্ড দল। ফলে তৃতীয় ম্যাচ ছিল দুই দলের কাছেই নিয়মরক্ষার। আর নিয়মরক্ষার ম্যাচ জিতে নিজেদের মুখরক্ষা করল তামিম ইকবালের দল। ইংরেজদের ৫০ রানে হারাল তারা।

চট্টগ্রামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদশের অধিনায়ক। কিন্তু এদিনও বাংলাদেশ তাদের শুরুটা মোটেই ভালো করেনি। ওপেন করতে নামা তামিম (৬ বলে ১১ রান) খুব অল্প রান করলেও লিটন দাস (০) খাতা না খুলেই স্যাম কারানের বলে ফিরে যান। বলা ভালো প্রথম ওভারেই পঞ্চম বলে ফিরে যান লিটন। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।

দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনতে ক্রিজে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পিচে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যান তারা। আর তাতেই একটু একটু করে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান যুক্ত হতে থাকে। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটিং দাপটে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড দল।

৭১ বলে ৫টি বাউন্ডারির সৌজন্যে ৫৩ রান করেন নাজমুল। তিনি রানআউট হয়ে ফিরে গেলে ব্যাট করতে নামেন শাকিব আল হাসান। তিনিও থেমে থাকেননি। ইংরেজদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং আক্রমণ বাড়াতে থাকেন তিনি। তাঁকেও সঙ্গ দেন মুশফিকুর। এই দুই ব্যাটারই শতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। কিন্তু অল্পের জন্য তা হাতছাড়া হয়।

মাত্র ৬টি বাউন্ডারির সৌজন্যে ৯৩ বলে ৭০ রান করেন মুশফিকুর। তবে টি-টোয়েন্টির মতো চালিয়ে খেলেন শাকিব। তিনি করেন ৭১ বলে ৭৫ রান। শাকিবের ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র ৭টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। এই দুই ব্য়াটার আউট হয়ে গেলে আর কোনও ব্যাটার বড় রান করতে পারেননি। ৪৮.৫ ওভারে মাত্র ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। তিনটি উইকেট নিয়েছেন জোফ্রা আর্চার। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্যাম কারান এবং আদিল রশিদ। একটি করে নিয়েছেন ক্রিস ওকস এবং রেহান আহমেদ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেন জেসন রয় এবং ফিল সল্ট। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে টার্গেটের দিকে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। একটা সময় ইংল্যান্ডের রান দেখে মনে করা হয়েছিল বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করবে তারা। কিন্তু শাকিব বল করতে এলেই পরিস্থিতি বদল হতে থাকে। জেসন রয় (৩৩ বলে ১৯ রান) এবং সল্ট (২৫ বলে ৩৫) ফিরিয়ে দেন শাকিব। এরপর এক এক করে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। অবশ্য জেমস ভিনস বড় রান করার চেষ্টা করলে তাঁকেও ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। তবে ক্রিস ওকস কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৪৬ বলে ৩৪ রান করেন ওকস। কিন্তু মুস্তাফিজুর তাঁকে ফিরিয়ে দেন। ৪৩.১ ওভারে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৫০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্য়াচে সেরা হয়েছেন শাকিব। সিরিজের সেরা হয়েছেন আদিল রশিদ।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.