অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পেয়েও কেন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শোয়েব?
বিশ্বের বড় বড় ব্যাটারেদর মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন তিনি। প্রতিপক্ষ ব্যাটারের রাত ঘুম কেড়ে নেওয়ার সব রকম ক্ষমতা ছিল পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের। ২২ গজকে অনেক আগেই বিদায় জানিয়েছেন তিনি। তিনি ক্রিকেট জীবনে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে পরিচিতি পেয়েছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভার রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬১ কিমি প্রতি ঘন্টায় বল করে রেকর্ড তৈরি করেন। সম্প্রতি শোয়েব আখতার প্রকাশ্যে আনেন সেই বছরই তাঁকে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিতে বলা হয়। তিনিই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
১৯৯৭ সালের নভেম্বরে ওয়াসিম আক্রমের অধীনে আখতারের টেস্ট অভিষেক হয়। তারপর থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অনেকবার পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছেন শোয়েব। তাঁর অভিষেকের চার মাস পরই পাকিস্তান দলের অধিনায়ক পরিবর্তন হয়। ওয়াসিম প্রথম একাদশে থাকলেও রশিদ লতিফের অধীনে প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলেন। ক্যাপ্টেন্সি প্রসঙ্গে শোয়েব বলেন, ‘আমাকে ২০০২ সালে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন আমি পুরোপুরি ফিট ছিলাম না। আমি পাঁচটির মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলতে পারতাম। যদি আমি তখন সব ম্যাচ খেলতাম তাহলে খুব বেশি হলে এক কি দুই বছর খেলতাম।’
আখতার আরও বলেন, ‘সেই সময় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অনেক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। আমি সেই সময় আমার সতীর্থদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। সেই সময় পাকিস্তান দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের এগিয়ে আসতে হত। তাই সবাই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছি।’
আখতার পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ টেস্ট এবং ১৬৩ ওয়ানডে খেলেছেন। তাঁর ক্রিকেট জীবনের অধিকাংশ সময় চোট আঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ১৪ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে দলের হয়ে তাঁর বিক্ষিপ্ত উপস্থিতিতেও ঘুম কেড়ে নেয় ব্যাটারদের। আখতার ভারতের সচিন তেন্ডুলকর এবং রাহুল দ্রাবিড়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং সহ তৎকালীন বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বল করেছেন। আপাতত মূলত নিজের ইউটিউব চ্যানেল নিয়েই ব্যস্ত তিনি। তবে সুযোগ পেলে পাকিস্তান ক্রিকেট চালাতে চান তিনি। তাঁর ইচ্ছা নতুন প্রতিভাদের তুলে দেশকে বিশ্ব ক্রিকেটের ফের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার।
For all the latest Sports News Click Here