‘অদ্ভূত শূন্যতা, সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে’, শেষ বয়সে মৃত্যুশোক ঘিরে ধরেছিল লতাকে
স্তব্ধ হল কোকিলকন্ঠ, সুর হারালো গোটা দেশ। রবিবার সকালে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। খুব অল্প বয়সে কাজ শুরু করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সাত দশকেরও বেশি সময় ব্যাপ্ত তাঁর কর্মজীবন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়েছে এই নবতিপর শিল্পীর সুরের ঝঙ্কারে। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনও পরিবর্ত নেই।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক পুরোনো সাক্ষাত্কারে প্রয়াত শিল্পী জানিয়েছিলেন তাঁর জীবনের ‘অদ্ভূত শূন্যতা’র কথা। তিনি জানান, ‘যখন মানুষ চলে যায় তখন একটা অদ্ভূত শূন্যতা ঘিরে ধরে। আমার এক খুব কাছের বন্ধু ছিল, কানাডায় থাকত। সে সম্প্রতি চলে গেল। আমার সব বন্ধুরাই একে একে চলে গেল, সব সোনালি দিনগুলো শেষ। আমি আজও যশজি (যশ চোপড়া)-র মৃত্যুটা মেনে নিতে পারিনি’।
যশ চোপড়ার হয়ে অজস্র গান গেয়েছেন লতা। দুজনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। লতা জানিয়েছিলেন, ‘উনি আমাকে দিদি বলে ডাকতেন। এই ডাকটা আজও আমার কানে প্রতিধ্বনিত হয়। আস্তে আস্তে সবাই চলে যাচ্ছে। তবে সবাই আমার হৃদয়জুড়ে রয়েছে। আমি সবাইকে খুব মিস করি। তাঁদের গান, তাঁদের সঙ্গ- সবকিছু। মদন মোহন ভাইয়ার মতো সংগীত পরিচালকরা আমার বাড়ির খুব কাছেই থাকতেন, আমি হেমন্ত (মুখোপাধ্যায়) দাদাকে খুব মিস করি, এস ডি বর্মন তো আমাকে মেয়ে বলে ডাকতো। আমার আরডি বর্মনের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক ছিল। উনি আমাকে বোন বলতেন’।
জানুয়ারির মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। করোনার সঙ্গে দোসর হয়ে ছিল নিউমোনিয়া। গায়িকার বয়স ভাবাচ্ছিল চিকিত্সকদের। তাই তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। করোনা-কে হারিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ভারতের কোকিলকন্ঠী, প্রার্থনায় শামিল ছিল গোটা দেশ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না! আজ দুপুর ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত প্রভাতকুঞ্জের বাড়িতে শেষশ্রদ্ধা জানানো যাবে প্রয়াত গায়িকাকে। সন্ধ্যা ৬.৩০টায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের।
For all the latest entertainment News Click Here