‘অজিরাও একে অপরকে পছন্দ করত না’, ৯৩ টেস্ট খেলা অশ্বিনকে জ্ঞান দিলেন আকাশ
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হারের পর প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমেছে ভারতীয় দল। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ইতিমধ্যেই প্রথমটি জিতে এগিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। উল্লেখযোগ্য ভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ম্যাচে সুযোগ পাননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। সমালোচনার গতি পায় ফাইনাল হারের পর। রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড় সহ গোটা টিম ম্যানেজমেন্ট সমালোচিত হতে থাকেন।
সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে বিপক্ষ দলকে নিয়ে কার্যত ছেলে খেলা করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই পারফরম্যান্স সমালোচকদের অনেকটাই অক্সিজেন দিয়েছে। বিশেষ করে কেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অশ্বিনকে নেওয়া হয়নি। অনেকে তো আবার বলতে শুরু করে দিয়েছেন, অশ্বিন তাঁর যোগ্য জবাব দিয়েছেন।
তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দলে সুযোগ না পাওয়ায় মানসিক দিক থেকে ভেঙেও পড়েন অশ্বিন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানসিক ভাবে ভেঙে যাওয়ার কথা জানান সিনিয়র এই ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে ড্রেসিংরুমের অন্দরে ঠিক কী ঘটে তাও তুলে ধরেছেন তিনি। অশ্বিন সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটাররা এখন সহকর্মী, বরং তারা বন্ধু নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা এমন এক সময় যেখানে সবাই সহকর্মী। এক সময় যখন ক্রিকেট খেলা হত, তখন তোমার সব সতীর্থ বন্ধু ছিল। এখন, তারা সহকর্মী। এখানে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে কারণ এখানে প্রত্যেকে নিজেকে এগিয়ে নিতে এবং তোপার পাশে বসে থাকা অন্য ব্যক্তির থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে। তাই কেউ বলার সময় পায়নি, ঠিক আছে, বস কি করছ তুমি?’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর আকাশ চোপড়াও মুখ খোলেন অশ্বিনকে দলে না রাখা নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া দলের ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। ৯০-র এবং ২০০০ সালের সময় অজি দলের পরিস্থিতি কেমন ছিল তা তুলে ধরেন তিনি। আকাশ চোপড়া ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘তারা (অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরা) একে অপরকে ততটা পছন্দ করেনি। তাদের থামানো প্রায় অসম্ভব ছিল। একটি তারকা খচিত দল যারা একে অপরের জন্য খেলেছে। এটা এমন নয় যে ইয়ান হিলি শেন ওয়ার্নের বলে ক্যাচ দিতে অস্বীকার করেছে। বা কেউ রান আউটের সুযোগ মিস করেছে, কারণ তারা অন্যদিকে থাকা ক্রিকেটাররে সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়। সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জেতার চেষ্টা করে। এবং এটি শুধুমাত্র একটি উদাহরণ নয়, এটি অনেক দলের সঙ্গে ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুব বেশি বন্ধুত্ব নেই, এটি পরিবারের মতো নয়। গলা কাটা প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু দলগুলি সফল। এটা বাধ্যতামূলক নয় যে দলগুলি শুধুমাত্র পরিবারের মতো পরিবেশে সফল হবে। সতীর্থদের দলে নিজের অবস্থান নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হবে না।’ দিল্লি দলের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘দিল্লি দলের অন্দরের পরিবেশও ভালো নয়। কিন্তু তারপরও তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য পেয়ে চলেছে।’
For all the latest Sports News Click Here