অক্ষয়ের সঙ্গেই বিয়ে, ‘খিলাড়ি’কে চেনার বহু বছর আগেই জেনে গিয়েছিলেন টুইঙ্কল!
অক্ষয় কুমারের সঙ্গে যে টুইঙ্কল খান্নার বিয়ে হবে সেকথা বহু বছর আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রয়াত বলি-তারকা রাজেশ খান্নার জ্যোতিষী। মজার কথা, সেই সময়ে অক্ষয়ের নামটুকুর সঙ্গে পর্যন্ত পরিচয় ছিল রাজেশ-কন্যার।উঁহু, অন্য কেউ নয়, নিজের মুখে একথা জানিয়েছেন স্বয়ং টুইঙ্কল!
সম্প্রতি,টুইক ইন্ডিয়ার জন্য জ্যাকি শ্রফের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন টুইঙ্কল খান্না। সেখানেই গল্প-আড্ডার ফাঁকে টুইঙ্কল কবুল করেন যে তাঁর বাবা তথা প্রয়াত বলি-তারকা রাজেশ খান্না জ্যোতিষ শাস্ত্রে দারুণ বিশ্বাসী ছিলেন। নিয়মিত এক জ্যোতিষীকেও হাত দেখাতেন তিনি। সেই জ্যোতিষীই জানিয়েছিলেন ভবিষ্যতে অক্ষয়ের ঘরণী হতে চলেছেন টুইঙ্কল। প্রাক্তন বলি-অভিনেত্রীর কথায়, ‘ জ্যোতিষীর থেকে এহেন কথা শুনেছিলেন বাবা। তারপর আমাকেও জানিয়েছিলেন। সেই সময়ের অক্ষয় মামটুকুর সঙ্গে পর্যন্ত পরিচয় ছিল না আমার। তাই বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কে এই অক্ষয়? তখন তাঁর পুরো নাম জানতে পারি। তবে, আমার কোনওদিনই জ্যোতিষ ব্যাপারটায় তেমন বিশ্বাস ছিল না। বাবা মাঝেমধ্যে সেসব নিয়ে আমাকে নানান কথা বলতেন, আমি শুনতাম। এটুকুই।’ প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে চারহাত এক করেছিলেন অক্ষয় ও টুইঙ্কল।
এরপর কেটে গেছে বহু বছর। অক্ষয়ের বাড়িতে একবার সেই জ্যোতিষীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রাজেশ খান্না। জ্যোতিষে বিশ্বাস না করলেও তাঁকে নিজের কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করার লোভ সামলাতে পারেননি টুইঙ্কল। অক্ষয়-পত্নীর কথায় জানা গেল তাঁকে নাকি অবাক করে সেই জ্যোতিষী বলেছিলেন টুইঙ্কল নাকি ভবিষ্যতে একজন লেখিকা হবে। যা শুনে সেইমুহূর্তে পুরো ‘ভুলভাল’ মনে হয়েছিল এই প্রাক্তন বলি-অভিনেত্রীর। টুইঙ্কলের কথায়, ‘আমার মনে হয়েছিল পুরো ভুলভাল বলছে। কারণ সেই সময়ে লেখালেখির থেকে অনেক দূরে ছিলাম আমি। তবে আজ দেখুন…কী আর বলব।’ প্রসঙ্গত, এইমুহূর্তে লেখিকা হিসেবে পাঠকদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় টুইঙ্কল খান্নার নাম। ইতিমধ্যেই তাঁর রচিত ‘মিসেস ফানিবোনস’, ‘দ্য লেজেন্ড অফ লক্ষীপ্রসাদ’ এবং ‘পায়জামাস আর ফরগিভিং’ দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে পাঠকমহলে। এর পাশাপাশি সংবাদপত্রে কলামও লেখেন তিনি। ইনস্টাগ্রামেও নিজের সুচিন্তিত মনোভাব নেটিজেনদের সঙ্গে প্রায়শই শেয়ার করেন টুইঙ্কল।
For all the latest entertainment News Click Here