অক্ষয়কে ‘খিলাড়ি’ সাজতে না করেছিলেন রাজেশ খান্না!
বহু বছর আগের এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় কুমারের কেরিয়ার নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেছিলেন ‘খিলাড়ি’র শ্বশুর তথা প্রয়াত বলি-সুপারস্টার রাজেশ খান্না। কেমন ধরণের ছবি অক্ষয় নির্বাচন করছেন, তা নিয়েও নিজের মতামত দিয়েছিলেন রাজেশ। লুকোছাপা না করে জানিয়েছিলেন, যথেষ্ট ভালো কাজ করছে অক্ষয়। শুধু ‘খিলাড়ি’ সিরিজের ছবি যদি করা তিনি বন্ধ করেন, তাহলে তাঁর কেরিয়ারের পক্ষেই সেটা মঙ্গলজনক হবে।
নব্বইয়ের দশকে ‘খিলাড়ি’ সিরিজের একাধিক ছবি করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করার পাশাপাশি বি-টাউনে ‘খিলাড়ি’ নামটাও নিজের নামের পাশে পাকাপাকিভাবে সাঁটিয়ে নিয়েছিলেন অক্ষয়, যা আজও অক্ষুণ্ন। ১৯৯২ সালে ‘খিলাড়ি’ ছবি দিয়ে শুরু। এর পর আসে ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, ‘সবসে বড়া খিলাড়ি’, ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’ এর মতো পরপর একগুচ্ছ ‘খিলাড়ি’ সিরিজের আরও ছবি।
২০০৯ সালে বলিউড হাঙ্গামা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজেশ খান্না বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে অক্ষয়ের কথা হয় ওঁর কেরিয়ার নিয়ে। ওঁকেও জানিয়েছি যে ভালো ভালো ছবি দিয়ে নিজের কেরিয়ার বেশ সাজিয়ে নিচ্ছে সে। আমি জোর দিয়েই অক্ষয়কে বলেছি যে সে যেন আরও বেশি করে অ্যাকশন, কমেডি ছবিতে অভিনয় করে। মোট কথা দর্শক যেন বিনোদন পায়। সঙ্গে এটাও যেন মাথায় রাখে ওঁর প্রতিটি ছবিতে থেকে যেন দর্শকদের জন্য কোনও শিক্ষণীয় বার্তা থাকে। কিংবা ছবির যেন একটা উদ্দেশ্য থাকে। সেই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে অক্ষয়কে এবং অবশ্যই ‘খিলাড়ি’ সিরিজের ছবিতে আর অভিনয় না করার ওঁকে পরামর্শ দিয়েছি!’
এবং তাঁর পৌত্র অর্থাৎ অক্ষয়-পুত্র আরভ যে ভবিষ্যতের ভারতীয় ছবির জগতের ‘সুপারস্টার’ হতে চলেছে সেই ব্যাপারেও দৃঢ় গলায় এই সাক্ষাৎকারে নিজের মন্তব্য পেশ করেছিলেন রাজেশ খান্না। নিজের বক্তব্যের সাফাই হিসেবে বলেছিলেন, ‘আরভ আমার নাতি বলে মোটেও এরকম কথা বলছি না। ওর মধ্যে পরিশ্রম করার ইচ্ছে এবং ধৈর্য্য দুইই রয়েছে। এবং তা আমি দেখেছি। তাই আজ জোর গলায় বলছি আমি, অক্ষয় যে ধরণের পরিশ্রম করেছি নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তা একইভাবে করবে আরভ।
For all the latest entertainment News Click Here