মদ খেয়ে সেদিন অনুরাগের সঙ্গে আমার তুমুল ঝগড়া, তাও গুলজারের বাড়িতে: মনোজ

মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশকিছু ভালো ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। যার মধ্যে অন্যতম ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’। তবে মনোজের সঙ্গে অনুরাগের যে শুধু বন্ধুত্ব এমনটা নয়, ঝগড়াও হয়েছে। এমনকি ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ তৈরি হওয়ার আগে নাকি মনোজ-অনুরাগের এমন ঝগড়া হয়েছিল, যে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কয়েকবছর কথা পর্যন্ত বলেননি। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে অনুরাগের সঙ্গে তাঁর তুমুল ঝগড়ার কথা সামনে এনেছেন মনোজ। 

মনোজ বাজপেয়ী জানিয়েছেন, অনুরাগের সঙ্গে তাঁর যে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল সেটা আবার নাকি বর্ষীয়ান লেখন গুলজারের বাড়িতে। তা ঝগড়াটা কী নিয়ে? মনোজ বলেন, ‘আমাদের ঝগড়া হয়েছিল একটা বই পড়া নিয়ে। অনুরাগ আমায় বলেছিল তুমি এটা পড়োনি। তুমি পড়ার বিষয়ে কীই বা জানো! এরপরই কথায় কথায় তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। প্রথমে গুলজার সাহাবের বাড়ির মধ্যেই ঝগড়া বাঁধে, তারপর বারান্দায় বের হয়ে আসি। আমরা একে অপরকে দোষারোপ করছিলাম আর কাঁদছিলাম। মদ খেলে যা হয় আরকি। তারপর মদ খাওয়াই ছেড়ে দি। কারণ, সেদিন আমার সমস্ত দুর্বলতা সবার সামনে চলে এসেছিল।’

আরও পড়ুন-‘আড়াই বছরে ক্লাস সেভেনে পড়তেন!’ এমনই কি বলে ফেললেন সন্দীপ্তা? ট্রোল করতে ছাড়ল না নেটপাড়া

আরও পড়ুন-নাম সাবিহা শেখ, বদলে হয়েছেন রানি, ‘৭২ হুরেঁ’র ট্রেলার দেখে বললেন, ‘কোরান কোথায় মানুষ মারতে বলে?’

মনোজ বলেন, ‘তারপর একদিন রাতে ঘুমোতে যাব, ঘড়িতে তখন সাড়ে ১০টা বাজে, অনুরাগ ফোন করল। ওর সঙ্গে প্রায় কয়েক বছর পর কথা হল সেদিন। আমরা আমাদের মধ্যে থাকা সমস্যার সমাধানও করিনি। তবে ওই ফোন আমাদের মধ্যে সমস্ত তিক্ততা মিটিয়ে দেয়।’

মনোজের কথায়, ‘অনুরাগ বলল, যে ওর আমাকে কিছু দেওয়ার আছে। জিগ্গেস করল আমি কি সেটা পড়তে চাই? ও আমার জন্য ওর গাড়ি পাঠিয়েদিল, আর আমিও ওর অফিসে পৌঁছে গেলাম। ও চিত্রনাট্য পড়ে শোনাল। আমি সেদিন বলেছিলাম, দয়া করে একটি রেড ওয়াইনের বোতল অর্ডার করো। তিনি পরিবর্তে দুটি বোতল অর্ডার করেছিলেন। আর এরপরেই তৈরি হয়েছিল সেই সর্দার খান (গ্যাংস অফ ওয়াসিপুরের চরিত্র) চরিত্রটি।

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.