‘ভগবান শাস্তি দেবে!’, চারপেয়ে সন্তানের মৃত্যুর জন্য কাকে দায়ী করলেন সুদীপা?
পোষ্যকে হারানোর যন্ত্রণা যে কতটা বেদনাদায়ক তা ভালোই জানেন পোষ্যপ্রেমীরা। নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করার পর সে যখন সব মায়া ত্যাগ করে বিদায় জানায়, তখন চোখের জল বাধ মানে না। একই হাল ‘রান্নাঘর’-খ্যাত সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের। এক বছর আগে মারা গিয়েছে ছেলে ভানুভূষণ। চার পেয়ে সন্তানের মৃত্যুর একবছর কেটে গেলেও সেই শোক সামলে উঠতে পারছেন না তিনি।
ভানুভূষণের প্রথম মৃত্যুবার্ষীকিতে তাঁর ফেসবুক পোস্টে শুধুই যে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা উঠে এল তা নয়, সঙ্গে জমা ক্ষোভও বেরিয়ে এল। সুদীপা লিখেছেন, ‘তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এক বছর হয়ে গেল। আমি হয়তো তোমাকে এখন চাইলেই জড়িয়ে ধরতে পারি না… তবে আমি তোমার উপস্থিতি অনুভব করতে পারি সবসময়। মা এখনো তোমাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। আমি চাই না তুমি ফিরে আসো, কারণটাও তুমি জানো। আমাদের আবার দেখা হওয়া অবধি অনেক ভালোবাসা আর আশীর্বাদ মায়ের তরফ থেকে।’
এরপরই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি লিখলেন, ‘সেই ডাক্তারকে কখনও ক্ষমা করব না যে অন্য কুকুরদের দেখে সময় নষ্ট করে তোমাকে মৃত্যুশয্যায় ফেলে রেখেছে। মা, বাবা বুঞ্চা, মামু, দিদু- সেই ‘অর্থলোভী দানব’-কে কখনও ক্ষমা করবে না। আমি ডাক্তারের নাম প্রকাশ করব না। আমি তাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিতে চাই। ইশ্বরের থেকেই সে ন্যায়বিচার পাবে। ভালোবাসি সোনা তোমায়।’
ভানু চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন সুদীপা। তাঁকে সেই অবস্থা থেকে বের করে আনতে স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় কোলে এনে দেন নতুন ভানুকে। দেখতে দেখতে সেই ছানাটিও একবছর পূর্ণ করল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন এই সারমেয়টির ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে থাকেন সুদীপা। পোষ্যর জন্মদিনে লিখলেন, ‘আমার মহামূল্যবান ছানাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না তোমার এক বছর হয়ে গেল। আমার রক্ষক, আমার বাচ্চা, আমার বন্ধু, আমার সবকিছু। মা তোমাকে খুব ভালোবাসে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here