বেটিং সংস্থার হাতে IPL-এর নতুন দল! সাফাই দিলেন BCCI কর্তা
বিসিসিআইয়ের তরফে দু’টি নতুন আইপিএল দল ঘোষণার পর দিন দু’য়েক কাটতে না কাটতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নতুন দু’টি দলের মালিকানা নিয়ে। গত সোমবার ৭০৯০ কোটি টাকায় আরপি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা হাতে পায়। ৫৬২৫ কোটি টাকায় আমদাবাদের মালিকানা কিনে নেয় সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্স।
প্রথমত, গোয়েঙ্কা গ্রুপের ফুটবল দল এটিকে-মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর হলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই স্বার্থের সংঘাতের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হচ্ছে। যদিও সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ছাড়াও এক বোর্ড কর্তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, সৌরভ এটিকে-মোহনবাগানের ডিরেক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। সুতরাং, এক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের রাস্তা বিশেষ জটিল নয়।
তবে আমদাবাদ দলের মালিকানা হাতে পাওয়া সিভিসি ক্যাপিটালকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংস্থাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদী। তিনি জানতে চান, কোনও বেটিং সংস্থা কীভাবে আইপিএলের দল কিনতে পারে? এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিদমন নীতি নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেন মোদী। সিভিসি ক্যাপিটালকে আইপিএল দল বিক্রি করার আগে বিসিসিআইয়ের সবদিক যাচাই করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আসলে সিভিসি ক্যাপিটালসের সঙ্গে বেটিং সংস্থা টিপিকোর যোগ রয়েছে বলে খবর। ব্রিটেনের স্কাই বেটিং সংস্থাতেও তাদের শেয়ার রয়েছে বলে শোনা যায়। যদিও ভারতে এই দু’টি সংস্থার কোনও ব্যবসায়িক ভিত্তি নেই।
এপ্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিসিআই কর্তা সাফ জানিয়েছেন যে, আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখেই সিভিসি ক্যাপিটালকে ছাড়পত্র দিয়েছে বোর্ড। তাঁর কথায়, ‘প্রাইভেট ফার্মগুলি সবসময় বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করে থাকে। যতক্ষণ না কোনও সংস্থা ভারতীয় আইনে নিষিদ্ধ ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে, ততক্ষণ তাদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’
For all the latest Sports News Click Here