চেতন শর্মার ভাগ্য ঝুলে, তবে ৩ জন নতুন মুখ আসতে চলেছে নির্বাচক কমিটিতে: রিপোর্ট
নতুন চেয়ারম্যানের সম্ভাবনা সহ জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে একটি বড় রদবদল হতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট জোন নির্বাচক হিসেবে আবে কুরুভিল্লার প্রস্থানের পর থেকে তাঁর জায়গায় এখনও কেউ আসেনি। পদটি ফাঁকাই রয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচক কমিটিতে চেয়ারম্যান ছাড়াও আরও দুই নতুন মুখ আনতে চলেছে বিসিসিআই। তার জন্য দ্রুত একটি ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করবে বিসিসিআই।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, ‘আমরা শীঘ্রই একটি ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি (সিএসি) গঠন করব, যা পদ্ধতি অনুসরণ করে নতুন নির্বাচক কমিটি নিয়োগ করবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের মর্জি অনুযায়ী সবটা চলতে পারে না- Asia Cup বিতর্কে ঘি ঢাললেন রামিজ রাজা
জানা গিয়েছে যে, দক্ষিণ অঞ্চলের নির্বাচক সুনীল যোশি এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চল নির্বাচক হরবিন্দর সিং তাদের জায়গা হারাতে পারেন। এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নির্বাচক নিয়োগ করা হতে পারে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ বার যখন নির্বাচক কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছিল, তখন চেতন শর্মাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সেই সময়ে বিসিসিআই একটি বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছিল যে, ‘সিএসি এক বছর পর প্রার্থীদের পর্যালোচনা করবে এবং বিসিসিআইকে সুপারিশ করবে।’
প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তিনি প্রধান নির্বাচক থাকবেন কিনা, তা নির্ভর করবে অন্য প্রার্থীরা কারা, তার উপর। বিসিসিআই-এর নিয়ম অনুযায়ী, সর্বাধিক টেস্ট ক্যাপ থাকা নির্বাচক স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রধান নির্বাচক পদে উন্নীত হয়।
আরও পড়ুন: পাক ক্রিকেট চলবে না ভারতের সাহায্য ছাড়া-বিতর্কের মাঝে ভাইরাল রামিজের পুরনো উক্তি
লোধা সংস্কারের পরে বিসিসিআই সংবিধান সংশোধনের পরে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ক্রিকেট এখন আর শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে খেলা হয় না। টি-টোয়েন্টির একটি বড় প্রভাব রয়েছে। একটি পুনর্গঠিত নির্বাচক কমিটিতে তাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ছন্দে পারদর্শী নির্বাচকদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছে। বোলার বিশেষজ্ঞ নির্বাচকের তুলনায়, ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ নির্বাচকদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। টি-টোয়েন্টির কথা মাথায় রেখেই। টিম ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় কিন্তু টি-টোয়েন্টি নির্বাচন পদ্ধতিতে সক্রিয় ভাবে জড়িত।
বিসিসিআই গঠনতন্ত্রে ক্রিকেট কমিটির যে কোনও সদস্যের মেয়াদ পাঁচ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। সেই নিয়মে পূর্বাঞ্চল নির্বাচক দেবাশিস মোহান্তিরও চাকরিতে এক বছরেরও কম সময় বাকি রয়েছে। বিসিসিআই-এর অন্যান্য জুনিয়র এবং সিনিয়র নির্বাচক কমিটিকে এক হিসেবে একত্রিত করার ফলে নির্বাচক প্যানেলে ধারাবাহিকতার অভাব দেখা দিয়েছে।
For all the latest Sports News Click Here