চিকেনপক্স-নিউমোনিয়াকে হারান থেকে উত্তর প্রদেশ জয়, ইশান পোড়েলের মাঠে ফেরার গল্প

চিকেনপক্স থেকে নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়ে বাংলারে জার্সি গায়ে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে বাংলার মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হয়ে উঠেছেন ইশান পোড়েল। এক মাস আগেও ইশান পোড়েল ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। প্রশিক্ষণের কথা ভুলে যান, তিনি সেভাবে হাঁটতেই পারছিলেন না। তিনি সাদা বলের টুর্নামেন্টগুলি মিস করেন কারণ তিনি প্রথমে চিকেনপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারপরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তিনি ছয় থেকে সাত কেজি ওজন হ্রাস করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তিনি অসুস্থতা থেকে ফিরে আসেন এবং দারুণ ভাবে ফিটনেস নিয়ে লড়াই করেন এবং অবশেষে এই লড়াই-এ জয়ী হন। ফিট হয়ে মাঠে ফিরে এসেই বাংলার জয়ের পিছনে বড় কারিগর হয়ে ওঠেন।

আরও পড়ুন… দেখেছেন কি মেসির অসাধারণ নো-লুক অ্যাসিস্ট! ৩৫ বছরের LM 10-র ফুটবলে খুদে লিওর ঝলক

উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচে বাংলার জয়ে বল হাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন ইশান পোড়েল। বাংলার এই বোলার ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন। সুতরাং ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৭টি উইকেট শিকার করেন ইশান পোড়েল।

চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য বাংলার দরকার ছিল ১০১ রান। ২ উইকেটে ১৫৬ রানে পুনঃসূচনা করে, দিনের তৃতীয় বলে কৌশিক ঘোষের (৬৯) উইকেট হারায় বাংলা। কিন্তু অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার (৮৩) এবং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (অপরাজিত ৬০) চতুর্থ উইকেটে ৯৭ রান যোগ করে। এরফলে বাংলা জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হেছেন ইশান পোড়েল। তিনি বাংলার হয়ে প্রথম দিনে উত্তরপ্রদেশের পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন… মাইক নাকি আইসক্রিম? দেখুন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর ছেলের কীর্তি

ম্যাচের সেরা হয়ে ইশান পোড়েল বলেন, ‘আমি উত্তেজিত হওয়ার থেকেও বেশি স্বস্তি পেয়েছি। এক পর্যায়ে আমি ভেবেছিলাম আমি হয়তো পুরো মরশুম মিস করব।’ এরপরে তিনি বলেন, ‘সৈয়দ মুস্তাক আলির আগে আমি চিকেনপক্সে এবং তারপর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলাম এবং বিজয় হাজারও মিস করি। আমার প্রায় ছয়-সাত কেজি ওজন কমে গিয়ে ছিল। আমি তখন ঠিক করে দাঁড়াতেও পারছিলাম না। কারণ আমার দুর্বলতা গুরুতর ছিল।’

২৪ বছর বয়সী এই তারকা সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার দুর্ভাগ্যের মুখোমুখি হয়েছেন। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সময়, তিনি প্রথম ম্যাচের পরে চোট পেয়েছিলেন। ২০২০ সালে, অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য তাঁকে নেট বোলারদের একজন হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল, কিন্তু হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে তাকে সিডনি থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইশান পোড়েল বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯-এর দিন থেকে এটা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি প্রথম ম্যাচের পর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বে চোট পেয়েছিলাম, আমার বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট লেগেছিল। এটি আমার জীবনের একটা বড় গল্প। জিনিসগুলি সর্বদা আমার জন্য এইভাবে ছিল।’

তার ফিট হয়ে ওঠার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইশান পোড়েল বলেছেন যখন তিনি প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন তখন তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু তিনি নিজের সেরাটা দিয়ে ফিরে আসেন। CAB-এর প্রথম বিভাগে কয়েকটি লিগ গেম খেলেছিলেন, যা তাঁকে তার ফর্ম ফিরে পেতে সাহায্য করেছিল। পোড়েল বলেন, ‘শুরুতে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। আমার প্রচুর কাশি হচ্ছিল, যা আমার প্রশিক্ষণকে প্রভাবিত করছিল। রঞ্জি ট্রফি শুরু হওয়ার আগে আমি দুটি ক্লাব ম্যাচ খেলেছি, যা অবশ্যই আমাকে সাহায্য করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লিগের ম্যাচে আমার পরিকল্পনা ছিল আরও ওভার করা। আমি দীর্ঘ স্পেল বল করতে চেয়েছিলাম। আমি আমার শরীরকে ঠেলে দিয়েছিলাম কারণ আমি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের সময় ভেঙে পড়তে চাইনি।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.