আট বছরে একটুও বদলায়নি বিক্রম, হঠাৎ কেন বললেন শোলাঙ্কি
দেখতে দেখতে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছেনদী’ ৮ বছর পূর্ণ করল। একই সঙ্গে পূর্ণ হল বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং শোলাঙ্কি রায়ের বন্ধুত্ব। ছোট পর্দার সেই পুরোনো জুটি, পুরনো রসায়ন তাঁরা আবার নতুন করে বড় পর্দায় ফিরিয়ে আনছেন ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ ছবিটির মাধ্যমে। এতদিন পর আবার কাজ, কেমন ছিল অভিজ্ঞতা, কেমন হল বন্ধুত্ব যাপনের দিনগুলো? আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কী জানালেন শোলাঙ্কি এবং বিক্রম।
এতদিন পর আবারও একসঙ্গে এক ফ্রেমে কেমন লাগছে? উত্তরে বিক্রম মশকরা করে বলেন, ‘অসহ্য। ওর সঙ্গে এতটা সময় কাটানো মুখের কথা নাকি!’ বন্ধুর এমন কথা শুনে মোটেই খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শোলাঙ্কি, বললেন ‘তবু তো সেই আমার সঙ্গেই সময় কাটাতে হচ্ছে!’
কোন গল্প ফুটে উঠবে ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ ছবিটিতে? বিক্রম-শোলাঙ্কি জানালেন ‘এটা একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প। আমরা চেয়েছিলাম জুটিতে ফিরলে ‘ইচ্ছেনদী’র সেই রসায়ন যেন দর্শকরা পান। এই ছবিতে উঠে আসবে অনিন্দিতা আর ঋতবানের কথা। এদের সঙ্গে সবাই মিল পাবেন। অনিন্দিতা পেশায় আরজে। আর ঋতবান একজন পিএইচডি স্কলার। তাঁর নেশা ছবি তোলা। একই সঙ্গে কলকাতাও। এখানে দুটো সময় তুলে ধরা হয়েছে। একটা ওদের কলেজের বন্ধুত্বের সময়, আরেকটা ঋতবান বিদেশ থেকে পিএইচডি করে ফেরার পর।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘গোটা ছবি জুড়ে দর্শকরা নস্টালজিয়া রয়েছে এই শহরকে ঘিরে। নিউ মার্কেট, টেরিটি বাজার, গঙ্গার ঘাটে শুটিং হয়েছে এই ছবির। যাঁরা এখন বিদেশে থাকেন তাঁরা কিন্তু এই শহরের প্রতিটা ফ্লেভার মিস করেন। ফলে দেশে ফেরার পর যে তৃপ্তি, যে নস্টালজিয়া তাঁরা এটার সঙ্গে রিলেট করতে পারবেন।’
বন্ধুত্বের আট বছর পার। তখন আর এখনের মধ্যে ফারাক কী কী? উত্তরে বিক্রম বলেন, ‘আমরা যখন ‘ইচ্ছেনদী’ করছি তখন ও সবে কাজ শুরু করেছে। খুব ছটফটে ছিল। সিরিয়াস ছিল না। এখন অনেক শান্ত, পরিণত হয়েছে। আমাদের দুজনের আট বছরের বন্ধুত্ব। একে অন্যের ওঠা পড়ায় সবসময় পাশে থেকেছি। আবার ঝগড়া করে মাস খানেক কথা বন্ধ রেখেছি। এখন আমাদের ঝগড়া হলে কেউ পাত্তা দেয় না জানে ঠিক হয়ে যাবে।’ অন্যদিকে শোলাঙ্কি বলেন, ‘বিক্রম আগে যেমন পাকা ছিল এখনও তাই আছে। তবে আমাদের এতদিনের বন্ধুত্ব তো, এখন একে অন্যকে বুঝি। বয়স বেড়েছে যেমন আমরাও পরিণত হয়েছি তেমন।’
For all the latest entertainment News Click Here